নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ধলেশ্বরীতে নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় মা ও ভাইবোনের পর এবার ভেসে উঠেছে শিশু তাসফিয়ার লাশ।

মঙ্গলবার সকাল ৮টায় ধলেশ্বরীতে তার লাশ ভেসে ওঠে।

এর আগে তাসফিয়ার মা ও বড়ভাই বোনসহ ৯ জনের লাশ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে ফায়ার সার্ভিস।

তাসফিয়া (দুই বছর) ফতুল্লার চরমধ্যনগর এলাকার সোহেল মিয়ার শিশুকন্যা।

গত ৫ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টায় সোহেল মিয়ার স্ত্রী জেসমিন আক্তার (৩৫) ও তার বড় মেয়ে তাসমিন আক্তার (২০), ছেলে তাসমিম (৫) ও তাসফিয়াকে নিয়ে আত্মীয়র বাসায় যেতে ধলেশ্বরী নদী পার হতে ট্রলারে ওঠেন। ওই সময় ঘন কুয়াশায় ট্রলারটি মাঝ নদীতে গিয়ে এমভি ফারহান-৬ লঞ্চের সামনে গিয়ে ধাক্কা লাগলে ডুবে যায়। এতে ট্রলারটিতে প্রায় ৪০-৪৫ যাত্রী ছিল। অনেকেই তখন সাঁতরিয়ে তীরে উঠতে পারলেও সোহেল মিয়ার পরিবারের চারজনসহ ১০ জন নিখোঁজ হয়।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নারায়ণগঞ্জ অফিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, ধলেশ্বরীর গভীরতা ৮০ ফুট। তাই শীতে পানি ঠাণ্ডা থাকায় লাশ ভেসে উঠতে সময় লেগেছে।

তিনি আরও জানান, ডুবে যাওয়া ট্রলারটির সন্ধান পাওয়া যায়নি। ডুবুরিরাও ধলেশ্বরীর পচা দুর্গন্ধযুক্ত পানিতে নেমে বেশি সময় থাকতে পারে না। আর ময়লার কারণে এ পানির নিচে কিছুই দেখা যায় না। এ জন্য উদ্ধারকাজে বিঘ্ন হয়েছে।

উল্লেখ্য, এমভি ফারহান-৬ লঞ্চের চালক, মাস্টার ও সুকানিসহ তিনজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা থানায় মামলা করেছে।